Menu
menu-icon close
  • ভাল্লাগসে

গর্ভবতী মায়েদের রমজান মাসে যে ৮টি বিষয়ে খেয়াল রাখা দরকার

Thumbnail

by Maisha Farah Oishi

১১:১৮, ২৭ মার্চ ২০২৩

গর্ভবতী মায়েদের রমজান মাসে যে ৮টি বিষয়ে খেয়াল রাখা দরকার

গর্ভবতী মায়েরা রোজা রাখতে পারবেন কি না, সে ব্যাপারে অনেকের মধ্যে আছে নানা রকমের কনফিউশন। অনেক গর্ভবতী মহিলা রোজা রাখতে চাইলেও সঠিক নির্দেশিকা কিংবা পরামর্শ না পেয়ে দ্বিধায় ভুগেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভাবস্থায় রোজা রাখলে কোনো ক্ষতি নেই, তবে তা পুরোটাই নির্ভর করে গর্ভধারণকারী নারীর উপর। গর্ভবতী মা এবং গর্ভের সন্তানের স্বাস্থ্য যদি অনুকূলে থাকে, তবে চাইলে একজন গর্ভবতী নারী রোজা রাখতে পারেন।

১. পূর্ব প্রস্তুতি – রোজার রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে একজন গাইনোকোলজিস্টের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে। রমজান মাসে গর্ভবতী মা এবং সন্তানের শরীরে পুষ্টিমান বজায় রাখার জন্য একজন পুষ্টিবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ডায়েট প্ল্যান তৈরি করে রাখতে হবে।

২. সেহরি – সেহরিতে বিভিন্ন আঁশজাতীয় খাবার, ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। আঁশযুক্ত খাবার ধীরগতিতে পরিপাক হয় বলে ক্ষুধা কম লাগে। তাছাড়া পানিশূন্যতা ও শরীরে লবণের পরিমাণ কমে যাওয়া এড়াতে বেশি বেশি পানি ও তরল খাবার খেতে হবে।

৩. ইফতার – ভাজাপোড়া খাবার বাদ দিয়ে ইফতারে খেজুর, ফলের রস, চিড়া-দই-ফল খাওয়া উচিত। এতে করে রক্তে সুগারের মাত্রা ঠিক থাকবে। দুধ ও দুধের তৈরি খাবার রক্তশূন্যতার প্রবণতা কমায়। এছাড়া তাজা ফল বা সবজির সালাদ/ স্যুপ ইত্যাদিও গর্ভবতী মায়েদের শরীরে পুষ্টি যোগাবে।

৪. রাতের খাবার – গর্ভবতী মায়েদের জন্য অল্প করে করে একটু পর পর খাবার খাওয়া খুবই জরুরি। ইফতারির পর রাতের খাবার হিসেবে ডাল, মাছ, মাংস, ইত্যাদি আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত যা মায়েদের শরীরে শক্তি জোগাতে সাহায্য করবে।

৫. পরিমিত বিশ্রাম – রোজার সময় ঘুমের স্বাভাবিক নিয়মের ব্যাঘাত ঘটে, তাই দিন-রাত মিলিয়ে প্রয়োজন যথেষ্ট বিশ্রামের। রোজাদার গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে তাই রাতে ৮ ঘণ্টা এবং দিনে কমপক্ষে ২ ঘণ্টা বিশ্রাম নিতে হবে।

৬. ইফতারির পর কফি, চা খাওয়া থেকে বিরত থাকা – চা, কফি, গ্রিন টি, চকলেট ইত্যাদি খাবারে থাকে প্রচুর পরিমানে ক্যাফেইন। যা গর্ভবতী মায়েরা রোজা রাখাকালীন সময় পানিশূন্যতার কারণ হতে পারে। তাই এই খাবারগুলো থেকে রমজান মাসে বিরত থাকা প্রয়োজন।

৭. অতিরিক্ত নয়, পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান করা – বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভবতী মায়েদের সেহেরি, ইফতার ও রাতের খাবার মিলিয়ে কমপক্ষে ১.৫ – ২ লিটার পানি পান করা উচিত। তবে অতিরিক্ত পানি মায়েদের অস্বস্তির কারণ হতে পারে তাই জোর করে নয়, বরং একটু পর পর অল্প করে পানি পান করা প্রয়োজন।

৮. স্বাস্থ্য সুরক্ষা – গর্ভবতী মায়েদের রোজা থাকাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। নিয়মিত ওষুধ সেবন,পর্যাপ্ত পরিমানে পানি এবং ভিটামিন যুক্ত খাবারের পাশাপাশি ডাক্তারি পরামর্শ নিয়ে, একজন মা তার এবং তার সন্তানের সুস্থতা বজায় রেখে সহজেই রোজা রাখতে পারবেন।

SHARE THIS ARTICLE