Menu
menu-icon close
  • ভাল্লাগসে
  • কস্কি মমিন

প্রতিটা সুখী মানুষ যে ১০টি নিয়ম সবসময় মেনে চলে

Thumbnail

by Efter Ahsan

২১:৪৮, ২০ জানুয়ারি ২০২৩

প্রতিটা সুখী মানুষ যে ১০টি নিয়ম সবসময় মেনে চলে

আচ্ছা, সুখী মানুষদের সাথে অন্যদের পার্থক্যটা ঠিক কোথায়? সবাই তো সুখী হওয়ার চেষ্টাই করে যাচ্ছে। তবুও বেশিরভাগ মানুষই সুখী না হওয়ার দাবি করে। “Happiness ” বা সুখ আসলে একটা মাইন্ডসেট। এই মাইন্ডসেট যাদের আছে তারা কতিপয় কাজগুলো কতটা ভিন্নভাবে করে, চলুন সেটা জেনে নেওয়া যাক।

১. লাইফে ব্যালেন্স নিয়ে আসে – জীবনে দায়দায়িত্বের শেষ নেই। কিন্তু এতকিছুর মাঝেও ফ্যামিলি, বন্ধুবান্ধব, ক্যারিয়ার, নিজের স্বাস্থ্য এবং ধর্মকর্মের মধ্যে সঠিক ব্যালেন্স যারা নিয়ে আসতে পারে তারাই সুখী হয়।

২. লাইফের “গোল্ডেন রুলস” মেনে চলে – এই গোল্ডেন রুল হলো অন্যদের প্রতি ঠিক তেমন আচরণ করা যেমন আচরণ আপনি তাদের কাছ থেকে এক্সপেক্ট করেন। কারো সাথে ভালো ভাবে কথা বলার, একটু কম্প্যাশনেট হওয়ার কোনো ক্ষতিকারক দিক নেই।

৩. ছোট-খাটো বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা করে না – অসুখী মানুষের সাথে সুখী মানুষদের ডিফারেন্সটা এখানেই। সুখী মানুষেরা সব কিছু নিয়ে মাথা ঘামায় না। তারা মেনে নিয়েছে যে ভালো মানুষের সাথে অনেক সময় আনফেয়ার কিছু ঘটতে পারে এবং এসব ব্যাপারে সবসময় কিছু করারও থাকে না। তাই সবকিছু নিয়ে মাথা ঘামানোর কিছু নেই।

৪. নিজে কাজের জন্য রেস্পন্সিবল হয় – সুখী মানুষেরা নিজেদের কাজের রেস্পন্সিবিলিটি নিজের উপর নিতে পছন্দ করে। কোনো কিছু মন মতো না হলে বা ব্যর্থতা আসলে তা অন্য কারো ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে দায়মুক্ত হওয়ার চিন্তা তাদের মাথায় আসে না।

৫. সুখী মানুষদের সান্নিধ্য খুঁজে পায় – সুখী মানুষরাই অন্য সুখী মানুষদেরকে আইডেন্টিফাই করে। ফলে তারা অন্যান্য সুখী মানুষদের সাথেই মেলামেশা করে এবং নিজেদের পজিটিভ অ্যাটিটিউড সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়।

৬. নিজের এবং অন্যদের প্রতি সৎ থাকে – সুখী হওয়ার সাথে সততার একটা নিবিড় সম্পর্ক আছে। সুখী মানুষেরা অন্যদের প্রতি যেমন সৎ থাকে তেমনি নিজের প্রতিও সে সৎ থাকে। আর এই সততার জন্যেই সে নিজের বা অন্য কারো প্রতি অবিচার করে না।

৭. সুখী হওয়ার লক্ষণ প্রকাশ করে – সুখী মানুষের কথা বা হাসি শুনলে কিংবা তাদের চোখে মুখে দ্যুতি দেখলেই বুঝা যায় তারা সুখে আছেন। দুঃখী মানুষেরা দুঃখ গোপন করে কিন্তু প্রকৃত সুখী মানুষেরা তাদের সুখ গোপন করে না, করতেও পারে না।

৮. কিছু না কিছুর প্রতি প্যাশন থাকে – মানুষের বিশাল একটা সময় কেটে যায় নিজের প্যাশন খুঁজে পেতে অথবা সেই প্যাশনকে উপভোগ করতে। অথচ সুখী মানুষেরা কিন্তু এদিক দিয়ে অন্যদের চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকে।

৯. চ্যালেঞ্জকে “চ্যালেঞ্জ” হিসেবে দেখে না – জ্বি, ঠিকই পড়েছেন। সুখী মানুষেরা চ্যালেঞ্জকে দেখে “Opportunity” হিসেবে। যা তাদেরকে ওই “চ্যালেঞ্জ” ফেইস করতে নয় বরং সেই “Opportunity” টা কাজে লাগানোর মোটিভেশন দেয়।

১০.সুখী মানুষেরা বর্তমানে বাঁচে – সুখী মানুষেরা অতীত নিয়ে পড়ে থাকে না। আবার ভবিষ্যতের চিন্তায়ও বিভোর থাকে না। তারা তাদের বর্তমান সময়টাকে সুন্দর করায় ব্যস্ত থাকে। দারুন না ব্যাপারটা?

SHARE THIS ARTICLE